top of page

বুকের বাঁশরী

দিকে দিকে রটে গেল হারু মাঝির বাঁশির কথা। আগে তো কেবল মাঝ নদীতে বাঁশি বাজাত। কখনো বর্ষার সন্ধ্যায় বা পূর্ণিমার রাতে একাকী লাগলে বাজাত। সেই বার যখন রাজার মন্ত্রী গ্রামে আসছিলেন, তখন মাঝ নদীতে তাঁর বজরার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল হারু মাঝির ডিঙি। তার ছেলে দাঁড় বাইছিল। মাঝি বোকাসোকা লোক। মন্ত্রীর বজরা দেখে কোথায় নৌকা থামিয়ে প্রণাম ঠুকবে আর সেবায় এগিয়ে আসবে, তা না। সে যেন এতবড় বজরাটা খেয়ালই করে নি এমন ভাব করে বাঁশি বাজিয়ে চলে গেল।

মন্ত্রী অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ভাল বাঁশির সুর তিনি আগেও শুনেছেন। কিন্তু মাঝি নদীর স্রোতের ছলাৎ ছল শব্দের সাথে তাল রেখে এমন এক সুর তুলল যেন, ঢেউ তার সহকারী বাদ্যশিল্পী। যেন দুটিতে মিলে তৈরী হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ সঙ্গীত। কখনো বাঁশি থামছে আর শোনা যাচ্ছে ঢেউয়ের শব্দ, ঢেউ মিলিয়ে যেতেই বেজে উঠছে বাঁশি। কখনো আবার দুইয়ে মিলে বাজছে একসাথে। আর এভাবেই তৈরি হচ্ছে ঐকতান। দূরত্ব বাড়তে বাড়তে শব্দ মিলিয়ে গেল।

মন্ত্রী ঘাটে নামতেই গাঁয়ের মোড়ল নিজের বাড়িতে অতিথি করে নিয়ে গেলেন তাঁকে। রাতে খাওয়ার পর উঠোনে বসে ধোঁয়া সেবন করতে করতে মন্ত্রী মহোদয়ের গান শোনার ইচ্ছা জাগল। মোড়ল পড়লেন বিপাকে। গাঁয়ের সঙ্গীত কিংবদন্তী মুৎসুদ্দী কবিয়াল গত বছর মারা যাওয়ার পর কেউ তার মত করে দাঁড়াতে পারে নি। তিন গ্রামের মধ্যে মেলা, যাত্রাপালা, পূজা–পার্বণ কি উৎসবে সে–ই গান গাইত। বাকি যারা গায় তাদের মন্ত্রীর সামনে পেশ করা যাবে না। কথায় কথায় মন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন মাঝনদীর ঐ বাঁশিওয়ালার কথা। শেষ পর্যন্ত অগতির গতি হারু মাঝিকেই আনা হল। কথাহীন সুরেই মন ভরাতে হবে মন্ত্রী মহোদয়কে। মন্ত্রী ভাবলেন, দেখি এবার, স্রোতের তাল কি দিয়ে পোষায় মাঝি?

নিঃশব্দ রাতে মাঝির তাল ধরল ঝিঁঝিঁ। একনাগাড়ে শব্দ করে যাওয়া বিরক্তিকর ঝিঁঝিঁকে সে করে নিল সহকারী। এ এক ভিন্ন সুর। আগেরবারের সাথে কোন মিল নেই। একটু খামখেয়ালী সুর হলেও অভাবনীয় রকমের বাজাল মাঝি। মন্ত্রী খুশি হলেন। তাকে বখশিশ দিলেন অকৃপণ হাতে। ব্যস, গাঁয়ে তার কদর বেড়ে গেল দশগুণ। কবিয়ালের মৃত্যুর পর সঙ্গীত বিষয়ে হীনমন্যতায় ভোগা গ্রামবাসী আবার গর্ব করার মত কিছু পেল। আশেপাশের গাঁয়ের লোকদের হাটে মাঠে নিজের গ্রামের গৌরব নিয়ে তর্ক করার জন্য নতুন উপাদান জুটল। হারু মাঝি তারকা হওয়ার অনুভূতি পেল। নানা জায়গা থেকে বায়না আসতে লাগল। মাঝি লগি–বৈঠা, কাদা আর স্রোতের বদলে বাঁশি আর গুণগ্রাহীর সাথে বেশি সময় কাটাতে লাগল। এমনি একদিন গাঁয়ে রাজার লোক এসে বলে গেল, রাজার বর্ষবরণ উৎসবে মাঝিকে বাঁশি বাজাতে যেতে হবে। খবর শুনে তো মাঝির খুশিতে মূর্ছা যাওয়ার জোগাড়। দেশের রাজা শুনবেন তার বাঁশি! এতদিনে জীবনের সার্থকতা এল। সে যাবে, অবশ্যই যাবে। বুকের সমস্ত বায়ু উগরে দিয়ে তৈরি করবে অমর কোন সুরলহরী। তারপর চাই কি মরে গেলেও দুঃখ থাকবে না। তার একজীবনের জন্য যথেষ্ঠই পাওয়া হয়ে গেছে। উৎসবের আর বেশি দেরী নেই। তার মধ্যেই প্রস্তুতি নিতে হবে। একটা সুন্দর নতুন বাঁশি বানাতে হবে। রাজসভায় বাজাতে হবে, চাট্টিখানি কথা নয়। একটা ভাল পোশাকও লাগবে। রাজার সামনে তো আর যা তা পরে যাওয়া যায় না। নিজের এবং গাঁয়ের সম্মান এখন তার হাতে। সন্ধ্যায় মোড়লের উঠানে লোক জড়ো হল বিষয়টি আলোচনা করতে। ঠিক হল, কিভাবে যাবে, কি পরবে, কি বলবে, কি বাজাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। রাজাকে কিভাবে কুর্নিশ করতে হয়, কিভাবে অমাত্যদের সাথে কথা বলতে হয়, কিভাবে বসতে হয়, খেতে হয় এসব বিষয়ে বিশদ শিক্ষা অর্জন করল সে মোড়লের কাছে। গাঁয়ের দর্জিকে বলা হল একটা নতুন অভিজাত পোশাক বানিয়ে দিতে। রাতে নিজের বাড়িতে ফেরৎ আসার আগে শাবাশীর চাপড় খেতে খেতে হারু মাঝির পিঠ ব্যথা হয়ে গেল। পরদিন কাকভোরে ছেলেকে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর চলে গেল মাঝি। অনেক গহীনে গিয়ে অনেক খুঁজে পেতে প্রায় অন্ধকার এক ঝাড় থেকে পেল পছন্দমত বাঁশ। সব বাঁশে তো আর ভাল বাঁশি হয় না। বাঁশ জোগাড় করে দরকার মত টুকরা করে ছোট করল। বাঁশের টুকরাগুলো শক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হল। তারপর বাঁশের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, পুরুত্ব দেখে কোথায় কোথায় গোল গোল ছিদ্র করবে সেখানে দাগ দিয়ে নিল। তারপর তানপুরা বাদক কালিপদকে সাথে নিয়ে গেল কামারের বাড়ি। রাজার উৎসবের বাঁশির জন্য কামার সব কিছু ছেড়ে দিল। লোহার শলাকা গরম করে হারু মাঝি অতি সাবধানে দাগ বরাবর ছোট ছোট গোল ছিদ্র করল। তারপর বাঁশিটি বাজিয়ে তানপুরার সাথে সুর মিলিয়ে দেখল ঠিক আছে কি না। ঘষা কাগজে ঘষে ছিদ্রগুলো প্রয়োজনমত বড় করল। একটু হিসেবের এদিক ওদিক হলেই পুরো বাঁশিটি ফেলে দিতে হত। শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হয়ে ফিরে চলল। এতে নকশা করল। ঝকঝকে কারুকাজ ফুটে উঠল বাঁশির গায়ে। তারপর একে পরিষ্কার করে, ধুয়ে মুছে, শুকাল। এর প্রান্তগুলো সুতা দিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিল। এতে সুন্দরও লাগবে আর বাঁশিটির আকারও পরিবর্তন হবে না। নতুন পোশাক বানাতে অনেক খরচ হয়ে যায় হারু মাঝির। সবাই বলাবলি করছিল, রাজা নাকি তাকে স্থায়ীভাবে চাকরী দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেবেন; যাতে প্রতিদিন তার বাঁশি শুনতে পান। তখন তো তাকে রাজধানীতেই পরিবার নিয়ে চলে যেতে হবে। সবার আনন্দের সীমা ছিল না। তাই ধার দেনা করে হলেও সবার মিষ্টিমুখ করাতে হল। আশেপাশের গ্রামে হারু মাঝির বাঁশি বাজানো নিয়ে অনেক কাল্পনিক গল্প ছড়িয়ে পড়ল। একবার নাকি গ্রামে বৃষ্টি হচ্ছিল না। আকাশে মেঘ ঠিকই আসে, কিন্তু সরে যায়। হারু মাঝি বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে বৃষ্টি নামিয়েছিল বলে সে যাত্রা নাকি অনেক গৃহস্থ সারাবছর চারটি খেতে পেয়েছে। কয়েক গ্রামে যারা সরাসরি তার বাঁশি বাজানো শুনেছে তারাও গুরুত্বপূর্ণ মানুষে পরিণত হয়ে যায়। সবাই তাদের কাছেও মাঝির বাঁশি সম্পর্কে শুনতে চায়। যাত্রার দিন মনে হল পুরো গ্রাম ভেঙ্গে লোক ঘাটে উপস্থিত হয়েছে। হারু মাঝি কখনো এত দূরের দেশে যাত্রা করেনি। তার উপর আবার রাজার তলব। নৌকা এগিয়ে যায়। রাজধানীতে এসে পুরো চোখ ছানাবড়া। বড় বড় নৌকা, বড় বড় রাস্তা, বড় বড় ঘোড়ার গাড়ি আর সব লোকই যেন ধনী। রাজাকে যদি এদের সবার চেয়ে ধনী হতে হয়, তাহলে তাঁর কাছে কত টাকা আছে তা ভেবে হারু দিশেহারা হয়ে গেল। প্রাথমিক ঘোর কাটতেই জেঁকে বসল দৈন্যের ক্ষুদ্রতাবোধ। রাজার লোক সমাদরে যদিও তাকে নিয়ে গেল, ভেতরে ভেতরে সংকুচিত হয়ে এতটুকু হয়ে গেল মাঝি। তার মত ছোটলোককে আমন্ত্রণ ও আতিথেয়তা করার জন্য রাজার ঔদার্যের গভীরতা নিরূপণ করে উঠতে পারল না। যদিও ভাষা ও আচার ব্যবহারের বিশাল শিক্ষা সমাপন করে এসেছিল, এখানে এসে আত্মবিশ্বাসের অভাবে তার কিছুই প্রয়োগ করে উঠতে পারল না হারু মাঝি। সব গড়বড় হয়ে যায় তার। অবাক বিস্ময়ে দিনের বেশিরভাগ সময়ই মুখ হা হয়ে থাকে। বর্ষবরণ উৎসবের ব্যাপকতা দেখেও চোখ চড়ক গাছ। রাজার উদ্যানের সাজসজ্জা বোধহয় নন্দনকাননকেও ছাড়িয়ে যাবে। সারে সারে হাতি ঘোড়া, তাদের গায়ে কারুকাজ করা কাপড় জড়ানো। অসংখ্য সৈনিক। ফুলে ফুলে আর রঙিন কাগজে ছেয়ে আছে গোটা উদ্যান। উৎসবের মঞ্চকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। এত জাঁকজমকের মাঝে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর মত গুরুত্বপূর্ণ মনে করায় মাঝির চোখে জল চলে এল। সন্ধ্যা হয়ে এলে অনেকগুলো মশাল জ্বালিয়ে মঞ্চ আলোকিত করা হল। প্রদীপে প্রদীপে উদ্যান ছেয়ে গেল। শুধু কালো রঙের আকাশটাই রাঙানো গেল না। আতশবাজিগুলো সেই চেষ্টাও করেছিল কিছুটা। মাঝিকে যখন মঞ্চে ডাকা হল সে একরকম ছুটে গেল। তার পোশাকটি ছিল অতি রঙচঙে, বেজায় ঢিলেঢালা, পাগড়িটিও কোন মতে মাথায় বসে আছে। তাকে দেখাচ্ছিল সঙের মত। বহুপ্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। রাজকীয় অতিথিবর্গ সামনে উপবিষ্ট। রাজাকেও দেখল। সবাই তার দিকে চেয়ে আছে। গর্বে বুক ফুলে উঠল। সকল অভিজাতদের বিনোদনে প্রস্তুত – হারাধন মাঝি। বাঁশিটি ঠোঁটে লাগিয়ে শুরু করল আশ্চর্য তান। তার আর কিছু মাথায় নেই। নিজের নাম, গ্রামের নাম, কার সামনে আছে কিছু মনে নেই। শুধু সঙ্গীতের সাথে তার যে আত্মার সম্পর্ক সেটা মনে আছে। প্রকৃতির সাথে তার যে সখ্য সেটা মনে আছে। চারদিক চুপচাপ হয়ে যায়। সবাই সমস্ত মনযোগে তার সুর শুনতে থাকে। উদ্যানে মৃদু বাতাস বয়ে যায়। মাঝি তার শব্দের সাথে ঐকতানে তৈরি করে ঐন্দ্রজালিক সুর। আনন্দ, বেদনা, হাসি, কান্না সবের সুরই একে একে বাজে তার বাঁশিতে। বিমোহিত হয় সবাই। মাঝির বাঁশির মাধ্যমেই শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তাকে অভিবাদন জানাতে স্বয়ং রাজা উঠে আসেন মঞ্চে। বলেন, ‘এ বাঁশিতে দেবীর আশীর্বাদ আছে। আমি এটা নিজের কাছে কাছে রাখতে চাই’। মাঝি কৃতজ্ঞতা কোথায় রাখবে ভেবে পায় না। বাঁশিটি রাজার হাতে দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ষাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে তাঁকে। বর্ষবরণে আসা সকল শিল্পী কয়েকদিনের জন্য রাজধানীতে রাজার অতিথি হিসেবে আপ্যায়ণ পেয়েছিলেন। কাকতালীয়ভাবে হোক বা অন্য কোন কারণেই হোক, রাজা প্রশংসাবাণীতে শুধু বাঁশির কদর করেছিলেন। তাই রাতারাতি বাঁশিটি সবার কাছে অমূল্য হয়ে উঠল। পরদিন সারা রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়ল আশ্চর্য এক বাঁশির কাহিনী, যাতে দেবীর আশীর্বাদ আছে বলে স্বয়ং রাজা রায় দিয়েছেন। ক্রমে সেটি ব্যক্তিগত সামগ্রী থেকে সকলের কৌতুহলের বস্তু হয়ে ওঠে। বাঁশিটিকে কে কতটা কাছে থেকে দেখেছে, কে কতটা শুনেছে, সেটা দেখতে কেমন, তা নিয়ে গুজবের পর গুজব তৈরি হয়। রাজার চাটুকারেরা বাঁশিটি নিয়ে কী করবে ভেবে পেল না। পুরোহিত দেবীর মন্দিরে একটি ধারক বানিয়ে সেখানে বাঁশিটি রাখার প্রস্তাব করে। প্রতিদিন ভোরে দেবীর পূজার সাথে বাঁশিটিরও অর্চনা হবে। মন্দিরে বাঁশিটিকে প্রতিদিন দলে দলে লোক দেখতে আসতে লাগল। এটার মধ্যে দেবীর কী এক আশ্চর্য অনুগ্রহ দেখতে পেত তারা আর বার বার মাথা ঠেকাত। তাদের মূর্খতা দেখে হারু মাঝির হাসি পায়। কেউ বোঝে নি, মাঝি বুকের সমস্ত মমতা উজার করে ফুঁ দেওয়াতেই বাঁশিতে সুরের লহরী উঠত।


বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে মাঝি এক অমোঘ সত্য অনুধাবন করে। মন্ত্রী তাকে জনপ্রিয়তা দিয়েছিলেন। আর রাজা দিয়েছেন বাঁশিকে। আর জনতা তাঁদেরই রায় অনুযায়ী কখনো তাকে কখনো বাঁশিকে প্রিয় করে নিয়েছে। মূর্খের দলের হাতে কোন দিন সে বাঁশি আর আগের মত বাজে নি। বাঁশিটিও প্রকৃতির মত। যে তার রূপের সন্ধান করবে, তার সামনেই সে নিজের রহস্যের জট খুলবে।


মাঝি নিজের দেশে ফিরে আসে। তাকে দেখতে আবার জনতার ঢল নামে। সবাই মোড়লের উঠানে ভীড় করে। রাজধানীতে কী হল, রাজা কী করলেন, তার বাঁশি শুনে কী বললেন, অনুষ্ঠান কেমন হল – ইত্যাদি প্রশ্নে মাঝিকে অস্থির করে ফেলে। মাঝি রাজার উদার হৃদয়, আতিথেয়তা, অনুষ্ঠানের জাঁকজমক সবকিছুর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে। সবাই জানতে চায় তার বাঁশি বাজান রাজার ভাল লেগেছে কি না। মাঝি থমকে যায়। সে সব কথা গোপন করে। শুধু জানায়, সারা দেশ থেকে কত কত শিল্পী, গায়ক, নর্তক আর বংশীবাদক গেছে। তাদের সামনে সে অতি সামান্য। জনতা হতাশ হয়ে ফিরে যায়।


রাজার আতিথ্য পেয়েছিল বলে কিছুদিন গ্রামে তার কদর ছিল। তারপর সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এরপর মাঝি বাঁশি বাজানো প্রায় ছেড়েই দেয়। কখনো কোন পূর্ণিমার রাতে বা বর্ষার সন্ধ্যায় মন খারাপ হলে এক আধ দিন নিজের মনে বাঁশি বাজাত। দিকে দিকে লোকে ভুলে গেল তার বাঁশির জাদুর কথা।


[ বুকের বাঁশরী শব্দবন্ধটি অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদ প্রথম ব্যবহার করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত বই লাল নীল দীপাবলী বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী’তে। লোকসাহিত্যকে বিশেষিত করতে তিনি এটি ব্যবহার করেছিলেন। ]

২৬-০৭- ২০১৩ কলাবাগান, ঢাকা।

  • সচলায়তন ব্লগে (২০/০৮/২০১৩ ১১:১০ অপরাহ্ন) প্রকাশিত

  • পরে ভারতের পুণে থেকে প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা ‘সমভাষ’এর উৎসব সংখ্যা ২০১৩’তে প্রকাশিত।

Featured Writing
Tag Cloud
No tags yet.
bottom of page