top of page

বিল্লুর ছানা

দুপুরবেলা ছানাকে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে বেরিয়ে পড়ল মা বিড়াল। সবাই তাকে বিল্লু নামে চেনে। বিল্লু এখনো তার ছানার নাম দিয়ে উঠেনি। ছানাকে ঘুম পাড়ানোর সময় বলেছিল, ‘ঘুম থেকে উঠে আমাকে না দেখলে কোথাও যাবে না, এখানেই থাকবে।’ ফেলে রাখা কাঠের স্তূপের আড়ালে ভাঙ্গাচোরা একটা ঝুড়িতে ছানা শুয়ে ছিল। সে কখনো মাকে ছাড়া বাইরে যায় নি। ছোট হয়ে থাকতে তার ভালো লাগে না। ছুটোছুটি করতে ভালো লাগে, নতুন কোথাও যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু মার সবসময় সব কিছুতেই ভয়। কোথাও যেতে দেয় না, সাথেও নিয়ে যায় না। মা বলেছে, বাইরে নাকি যেতে হয় খাওয়ার জন্য। মা বাইরে থেকে এসেই তাকে দুধ খাওয়ায়। মা নিজে না খেলে সে নাকি দুধ খেতে পাবে না। একলা থাকতে থাকতে সে বিরক্ত হয়ে উঠেছে। ও তো বড় হচ্ছে, তাই না? আজ সে মায়ের সাথে চালাকি করল। মা যখন পিঠ চাপড়ে ঘুম পাড়াচ্ছিল, তখন সে ঘুমের ভান করে পড়েছিল। দু’চোখ ভেঙ্গে ঘুম আসলেও নিজের সাথে লড়াই করে জেগে ছিল। মা যখন ভাবল সে ঘুমিয়ে পড়েছে তখন তাকে রেখে বেরোল।


মা চলে যেতেই ছানা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াল। ঝুড়ি থেকে বেরিয়ে কাঠের স্তূপের বাইরে সাবধানে মুখ বাড়াল। চারদিকে দেখল। নাহ, মা নেই। এক দৌড়ে সামনের ঝোপের আড়ালে চলে গেল। কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে সাহসে ভর করে এগিয়ে চলল।


চারপাশের আলোতে প্রথমেই তার চোখ ধাঁধিয়ে গেল। তার ঝুড়িতে অত আলো কখনো দেখে নি সে। উপরে তাকিয়ে দেখল, যতদূর চোখ যায় নীল একটা ছাউনি যেন। আকাশ সে আগেও দেখেছিল। কিন্তু সেটা যে এত বড় ধারণা ছিল না। তার মাঝে সাদা সাদা তুলোর মত কিছু ভেসে আছে। ওদিকের তুলোগুলো আবার কালো রঙের। নীল ছাউনিতে লাল টকটকে কি যেন একটা ঝুলছে। ওটার দিকে তাকানো যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে ওটাই যেন গা পুড়িয়ে দিচ্ছে।


ছানার চারপাশে অনেক অনেক সবুজ। ঘাস, ঝোপ, গাছ সে আগেও দেখেছে। কিন্তু পৃথিবীতে যে এত এত ঘাস, এত এত ঝোপ, আর এত এত গাছ আছে তা কি সে জানত? একটা ঝোপে রঙ্গিন ফুল দেখে সে অবাক হয়ে গেল। কি সুন্দর! হরেক রঙের ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে কি ওগুলো? বাহারি রঙের পাখা, আলতো কেঁপে কেঁপে উড়ে যায়। ছানা তার ছোট ছোট পাগুলোকে জড়ো করে লাফ দিল ওগুলোকে ধরতে। কিন্তু পারলো না। মাটিতে পড়ে গিয়ে গায়ে মাটি মাখাল। আরো কিছুক্ষণ ধরার চেষ্টা করে না পেরে শেষে এগিয়ে চলল।


একটা সরু আর লম্বা গাছ দেখল সে। মাটি থেকে সোজা উঠে গেছে। অনেক উপরে তার পাতা। তার ঝুড়ি থেকে গাছের উপরটা কেবল দেখা যায়। আজ পুরোটা দেখল। গাছের পাশ দিয়ে সোজা চলে গেছে পথ। পথের দুধারে ঘাস। নরম ধুলায় ছানার পা ডুবে যাচ্ছিল। মা সবসময় তাকে ধুলো-ময়লা ধরতে বারণ করে। তার ময়লা পা দেখলে মা নিশ্চয়ই খুব রাগ করবে।


বিল্লুর ছানা এগিয়ে গিয়ে একটা ডোবা দেখতে পেল। এত জল একসাথে কখনো দেখে নি সে। কাঠের স্তূপের পাশে একটা গর্তে জল জমে থাকে। মাকে সেখান থেকেই জল খেতে দেখেছে। সে কাছে এগিয়ে যেতেই ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ শব্দ করে একটা ব্যাঙ জলে লাফিয়ে পড়ল। তার মনে হল, মা এটা দেখলে খুব ভাল হত। তার ভয়ে একটা ব্যাঙ জলের ভেতর পালিয়ে গেল।


পাশে ওটা কী গাছ? এতবড়! পুরো গাছটা একসাথে দেখাও যাচ্ছে না। মা যে বলেছিল, ‘সবচেয়ে বড় গাছ বটগাছ’, ওটা কি তাই? কত অসংখ্য পাতা, তার ভেতরটা কী ভীষণ অন্ধকার! গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে আসছে, আবার উড়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে কত রকমের জীব! সবকিছু এত বড় বড়! পাখির ঝাঁক, গাছ, ঝোপ যা-ই দেখছে সব তার মায়ের চেয়েও বড়।


এগোতে এগোতে বিল্লুর ছানা এক বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে এসে পড়ে। এখানকার ঘাসগুলো সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে সবুজ। তার মাথা ছাড়িয়ে আরও অনেক উপরে উঠে গেছে। তার ফাঁক দিয়ে এগিয়ে ছানা তৃণভূমির অনেকটা ভেতরে চলে গেল। একটু খোলা জায়গায় এসে দেখল দূরে অনেক বড় বড় গরু চরে বেড়াচ্ছে। ছানা আগে কখনো গরু দেখে নি। এতবড় প্রাণীও যে পৃথিবীতে থাকতে পারে, এটা তার কল্পনারও বাইরে ছিল। প্রাণীগুলো ইয়া লম্বা লম্বা ঘাসগুলো একটানে ছিঁড়ে খেতে লাগল। দেখতে দেখতে তাদের সামনের ঘাসগুলো নেই করে দিল। দুটো গরু আবার বসে বসে চিবোচ্ছিল, কিন্তু মাঠের ঘাস ধরছিল না। বিল্লুর ছানা অবাক হয়, ভয়ও পায়। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে থাকে আর ভাবে, এ কোন দানবের রাজ্যে এসে পড়লাম!


ফিরে যাওয়ার জন্য মুখ ঘুরাতেই দেখে আকাশটা ঢেকে দিয়ে তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল এক গাভী। সে ডেকে ওঠে, ‘হাম্বা . . . ’ । একে তো পাহাড়ের মত শরীর, তার উপর চারদিক কাঁপানো কান ফাটানো শব্দ। বিড়ালছানা হঠাৎ ভয়ে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলে। এতটুকুন হৃদপিণ্ডটা কী অসম্ভব জোরেই না লাফাচ্ছে।


ছোট ছানাকে দেখে গাভীর খুব মায়া লাগল, ‘আহারে, না জানি কার ছানা।’ গাভী তাকে জিভ দিয়ে চেটে আদর করে দিল। তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলল, ‘ভয় পেও না খোকা। তোমার কিছু হবে না।’ আদর পেয়ে বিল্লুর ছানা শান্ত হল। এত বড় গাভীর অভয় পেয়ে বুকটা সাহসে ভরে গেল।


গাভী জানতে চাইল, ‘তোমার মা কোথায় খোকা?’


‘আমাকে দুপুরে ঘুম পাড়িয়ে যাওয়ার পর আমি ছুটতে ছুটতে চলে এসেছি।’


‘হুম, ভারি দুষ্টু। কিন্তু এটা তো তুমি ঠিক কর নি। মা নিশ্চয়ই তখন থেকে তোমাকে খুঁজে না পেয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে। তোমার খিদে পায় নি?’


‘পেয়েছে তো,’ বিল্লুর ছানা খিদেয় চলতে পারছিল না। এতটুকু শরীর নিয়ে এতদূর আসা যায়? মায়ের কথা মনে পড়ে তার চোখ ছলছল করে উঠল।


‘দাঁড়াও তুমি আমার দুধ খেতে পারো। নাহলে মায়ের কাছে ফিরতে পারবে না।’


বিল্লুর ছানা গাভীর আরও কাছে এগিয়ে গেল। দেখল, দুধের থলিটা অনেক উপরে আর সেটা তার নিজের চেয়েও বড়। আজ অনেক অবাক করা ব্যাপার দেখেছে সে, তাই আর অবাক হল না। গাভী বুঝতে পারল, সে দাঁড়িয়ে থাকলে ছানা দুধ খেতে পারবে না। তাই ঘাসের উপর বসল। বিল্লুর ছানা তখন প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত। দুধের ওলানে মুখ লাগিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে দিল এক টান। তারপর দুধের স্রোতের তোড়ে নিজেই উলটে পড়ল। তার কাণ্ড দেখে গাভী হেসে কুটিকুটি হল। আর ছানা পড়ে গিয়ে বোকার মত হাসতে থাকল, তার মুখে তখনও দুধ লেগে আছে। পেট এমন ঢোল হয়েছে যে উঠে দাঁড়াতেই কষ্ট হচ্ছে।


গাভী তাকে বলল, ‘চলো, তোমাকে মায়ের কাছে দিয়ে আসি।’ কিন্তু এগোতে গেলে তার গলায় বাঁধা দড়িতে টান পড়ে। আর যেতে পারে না সে। ছানা বুঝে পায় না, এতবড় জীবকে কিভাবে বেঁধে রাখা যায়?


ছানাকে গাভী বলল, ‘আমি আর যেতে পারবো না। যা যা দেখে এগিয়ে এসেছো, ঠিক সেগুলো দেখে ফিরে যাও।’ গাভীকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হল ছানার। এগোতে গিয়েই দেখে আকাশের কালো রঙের তুলা মাথার উপরে এসে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। গাভী তাকে ডেকে নিয়ে দু’পায়ের মাঝে রেখে বৃষ্টি ঢেকে দাঁড়িয়ে থাকল। বিল্লুর ছানা আরেকবার আশ্রয় পেল।


বৃষ্টি থামলে বিল্লুর ছানা সাহসে ভর করে রওয়ানা হল। গুটি গুটি পায়ে ঘাসের এলাকা পেরিয়ে রাস্তাটি খুঁজে পেল সে। রাস্তায় উঠেই দেখল দূরে একটা বড় কুকুর। সাথে সাথে ঘাসের ভেতর লুকিয়ে পড়ল। কুকুরকে প্রচণ্ড ভয় পায় তার মা। বুক ধুকপুক বেড়ে যায় ছানার। কুকুরটা কি এদিকে আসছে?


নাহ! ভাগ্যিস। একটু পরে কুকুরটা অন্যদিকে চলে গেল। ছানা ঘাসের ভেতর থেকে একটুখানি মুখটা বের করে দেখল। একছুটে চলে গেল রাস্তার ধারে সবচেয়ে বড় গাছটার আড়ালে।


সন্ধ্যা হয়ে আসছে। অনেকক্ষণ মাকে না দেখে বিল্লুর ছানার ভয় করতে থাকে। একটা খসখস শব্দ শুনে ছানা উপরের দিকে তাকাল। দেখল একটা পেঁচা তার দিকে চেয়ে আছে। এমন ভয়ঙ্কর পাখি আগে দেখেনি সে। হঠাৎ ভয়ে চিৎকার করে ওঠে ছানা।


পেঁচা বলে ওঠে, ‘ভয় পেও না, ছোট্ট ছানা। আমি কিছু করব না। সন্ধ্যাবেলা তুমি একা কেন?’


ছানা শান্ত হয়। জিজ্ঞেস করে ‘তুমি কি আমার মাকে দেখেছো?’


‘তোমার মা দেখতে কেমন?’ পেঁচা জিজ্ঞেস করে।


‘আমার মা দেখতে খুব সুন্দর, খুব সুন্দর,’ ছানা বলে।


‘কিন্তু গায়ের রং কেমন?’


‘সাদা, কালো, হলুদ।’


‘তোমার মা তোমাকে খুঁজতে ঐদিকে গেছে,’ পেঁচা পাখা উঁচিয়ে দেখিয়ে দেয়।


ছানা সেদিকে ছুটতে থাকে। পেঁচাকে ধন্যবাদ বলতেও ভুলে যায়। ছুটতে ছুটতে ডোবার ধারে এসে পৌঁছে। সেখানে ব্যাঙের দেখা পায়। ব্যাঙকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি আমার মাকে দেখেছো?’


ব্যাঙ বলে, ‘তোমার মা দেখতে কেমন?’


‘আমার মা দেখতে . . . অনেক সুন্দর, অনেক সুন্দর,’ বলতে বলতে সে কেঁদেই ফেলে, ‘আমি আর কখনো আমার মাকে ছেড়ে যাব না।’


ব্যাঙ বলে, ‘তোমার মা তোমাকে খুঁজতে ঐদিকে গেছে।’


বিল্লুর ছানা আবার ছুটে যায়। তবে পথ চিনতে পারছে বলে সাহস হারাল না।


হঠাৎ পাশের ঝোপ থেকে রাস্তার উপর লাফিয়ে উঠে এল বিশাল এক হুলো বিড়াল। যেমন মস্ত তার শরীর, তেমন লম্বা তার গোঁফ। হুলোটার শরীর তার মায়ের দ্বিগুণ হবে, লেজটাও ইয়া মোটা। তার দেখার ভঙ্গিটা মোটেও ভাল লাগল না বিল্লুর ছানার। তার দিকে তাকিয়ে ভয়ঙ্কর এক হুঙ্কার ছাড়ল, শিকারকে হাতে পেয়ে যেমনটা করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার নাকের উপর একটা থাবা বসিয়ে দিল। বিল্লুর ছানার পুরো পৃথিবীটা কেঁপে উঠল। সে তার বিপদ বুঝে গেল। ব্যথা সত্ত্বেও মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রাণপণে দৌড় লাগাল।


হুলো বিড়ালও তীক্ষ্ণ একটা চিৎকার করে তাকে ধাওয়া করল। বিল্লুর ছানা ছোট ছোট পায়ে বেশিদূর এগোতে পারল না। পেছন থেকে আরেক থাবা খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল মাটিতে। এখনই কি হুলোর হাতে ছোট্ট জীবনটা হারাবে সে? মাটিতে পড়ে থেকে দেখল তার মুখের উপর হুলোর মুখের ছায়া।


আচমকা ঝোপ-ঝাড় ভেঙ্গে দুদ্দাড় করে কোত্থেকে যেন ছুটে এসে ছানার মা হুলোর গায়ের উপর লাফিয়ে পড়ে তাকে নিয়ে গড়িয়ে চলে গেল। ছানা তখনও মাটিতে পড়ে ছিল। কী দেখল ভাল করে বুঝল না। তার মা আর প্রকাণ্ড হুলোর সে কী ভয়ঙ্কর লড়াই! দুয়ের সে কী ভয়ঙ্কর চিৎকার! মা আর হুলোর চিৎকার আলাদা করে বোঝা যাচ্ছে না। ছানার মমতাময়ী মায়ের সে কী বিধ্বংসী আক্রমণ! যে যাকে পারছে আঁচড়ে কামড়ে শেষ করে দেবে যেন। অন্ধকার চারদিক ধুলো উড়ে আরও অন্ধকার হয়ে গেল। একটু পর ধুলো সরে গিয়ে দেখা গেল, মস্ত হুলো লড়াইয়ে ক্ষান্ত দিয়ে তার মস্ত লেজটি গুটিয়ে পড়িমরি করে পালাচ্ছে। আর সবকিছুকে পেছনে ফেলে ছুটে আসছে মা।


কাছে এসেই তার একরত্তি নাকটায় চেটে আদর করে দিল। হুলোর থাবা খেয়ে তার নাক থেকে রক্ত ঝড়ছিল । মায়ের আদর পেয়ে ব্যথা কোথায় চলে গেল! মা পিঠেও আদর করে দিল। ছানা দেখল, মায়ের গায়েও অনেক জায়গা থেকে রক্ত ঝরছে। মা তাকে মুখে নিয়ে এক ছুটে কাঠের স্তুপের ভেতর ঝুড়িটাতে চলে এল।


আদরে আদরে মা তার সারাটা শরীর ভরিয়ে দিল, ‘কোথায় চলে গিয়েছিলি, ছানা? মাকে ফেলে এভাবে যায়?’


মাকে জড়িয়ে ধরে ছানা অনেক কাঁদল, ‘আর কখনও যাব না মা, ককখোনো না .......’


বিল্লুর ছানা বুঝতে পারে, তাকে আগে বড় হতে হবে। কতবড় হুলোকে তার মা তাড়িয়ে দিল! একটু বড় হলে নিজের ভাল বুঝে চলতে পারবে। ততদিন মায়ের কথা শুনতে হবে। বাইরে যেতে হলে, মাকে নিয়ে যেতে বলতে হবে। একলা একলা চলে গেলে বিপদ হবে। মা অনেক কাঁদবে। সে তার মাকে সারা বিকেলের গল্প বলে – গাছের কথা, ডোবার কথা, ব্যাঙের কথা, পেঁচার কথা, পথের কথা, মাঠের কথা, ঘাসের কথা, ফুল-পাখি-ঝোপের কথা আর অনেক অনেক ভাল লাগা গাভীর কথা। মা ভাবে, ‘ছানা বড় হচ্ছে, এখন তাকে মাঝে মাঝে বাইরে নিয়ে যেতে হবে, অন্য ছানাদের সাথে খেলতে দিতে হবে। নাহলে একা একা করবেই বা কী?’ তাকে বলে, ‘কাল আমরা ধন্যবাদ দিতে গাভীর কাছে যাব।’ আরেকবার গাভীকে দেখতে পাবে বলে বিল্লুর ছানার অনেক আনন্দ হল।


দুধ খেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ল সে। আর কখনও ঘুমের ভান করে মাকে ফাঁকি দেবে না বিল্লুর ছানা।

০২/১০/২০১৫ শ্যামলী,ঢাকা।

[ লেখাটি মাসিক শিশুকিশোর পত্রিকা ‘সোহাগ’এর নভেম্বর ২০১৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ]


Featured Writing
Tag Cloud
No tags yet.
bottom of page